বুধবার, ০৩ মার্চ ২০২১, ০৬:২২ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: যশোরে ছুরিকাঘাতে আব্দুল কুদ্দুস খান (৫০) খুনের দুই দিন পর নিহতর স্ত্রী শামসুন্নাহার বাদি হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১/২জন আসামী করে হত্যা মামলা হয়েছে।সে যশোর সদরের মোমিননগর নওদাগ্রামের বাসিন্দা।
আসামীরা হচ্ছে,যশোর শহরের পুরাতন কসবা ঢাকা রোড বাঁশতলা স’ মিনের সামনে আব্দুস সাত্তারের ছেলে সেলিম,পুরাতন কসবা বিবি রোড আমবাগানের আমিন হোসেনের ছেলে স¤্রাট ,একই এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে শফিকুল ইসলাম ওরফে শফি ও যশোরের মণিরামপুর উপজেলার গালদা গ্রামের আকবার আলীর ছেলে কামরুলসহ অজ্ঞাত ১/২জন।
মামলায় উল্লেখ করেছেন,সেলিমের সাথে তার বড় ছেলে ইসরাইল খান ওরফে বিপ্লবের পূর্ব পরিচয়। পরিচয়ের সূত্রধরে সেলিম বিপ্লবকে দুধের ব্যবসার করার জন্য ধারস্বরুপ ৪৪ হাজার টাকা গ্রহন করে। উক্ত টাকা চাওয়া নিয়ে গৃহবধূর স্বামী পেশায় চালক আব্দুল কুদ্দুস খান ও তার ছেলে ইসরাইল খান বিপ্লবের শত্রুতা। সেলিম টাকা দেওয়া নিয়ে চরমভাবে ঘুরাঘুরি করছে। গত ৩ নভেম্বর সেলিম তার মোবাইল ফোন থেকে আব্দুল কুদ্দুস খানের মোবাইল ফোনে ফোন করে দুপুর ২ টার পর টাকা নেওয়ার জন্য পুরাতন কসবা ঢাকা রোড ইন্তালেব এর চায়ের দোকানে আসতে বলে। আব্দুল কুদ্দুস খান সেলিমের কথা মতো বাইসাইকেল নিয়ে উক্ত ইন্তালেব এর চায়ের দোকানের সামনে যায়। সাথে সাথে শামসুন্নাহার ও তার বড় ছেলে ইজিবাইক নিয়ে সেখানে পৌছায়। উক্ত দোকানের পাশে সেলিমের সাথে আব্দুল কুদ্দুস খানের পাওনা টাকা নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় সেলিম ও শফিকুল ইসলাম শফি আব্দুল কুদ্দুসকে জাপটে দুই হাত ধরে ফেলে। স¤্রাট ধারালো চাকু নিয়ে এলোপাতাড়ী আঘাত করে। ছেলে ইসরাইল খান বিপ্লব উদ্ধার ও ঠেকাতে গেলে তাকেও স¤্রাট ছুরিকাঘাত করে। আব্দুল কুদ্দুস খান ও তার ছেলে ইসরাইল খানের ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা হত্যার হুমকী দিয়ে চলে যায়। স্বামী আব্দুল কুদ্দুস খান ও ছেলে ইসরাইল খান বিপ্লবকে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সন্ধ্যা ৭ টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুল কুদ্দুস খান মারা যায়।
Leave a Reply