বুধবার, ০৩ মার্চ ২০২১, ০৭:৫১ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: যশোর শহরের খড়কীতে যুবলীগ নেত্রী শাহনাজ বেগমের পরিবার কে হত্যা ও গুমের হুমকি দিচ্ছে একটি সন্ত্রাসী চক্র। বিষয়টি নিয়ে সোমবার ভুক্তভোগী এব্যাপারে কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ করেছেন। মহিলা যুবলীগ নেত্রী শাহনাজ বেগম(৩০),ওই এলাকার নাহিদুল ইসলামের স্ত্রী। অভিযুক্তরা হলেন, ওই এলাকার মতিয়ার রহমানের ছেলে একাধিক মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আক্তারুজ্জামান ডিকু , আব্দুল খালেকের ছেলে আল আমিন সহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১২ জন। অভিযোগে উল্লেখ করেন, অভিযুক্তরা শহরের খড়কী এলাকার স্থানীয় অস্ত্রধারী কিছু অসাধু লোক ত্রাসের রাজ্য গড়ে তুলেছে। তাদের অত্যাচরে অতিষ্ট এলাকাবাসী। সোমবার বিকাল ৫টার দিকে ডিকু সহ অন্যরা তার বাড়ীতে আসে। এসময় তাকে না পেযে মা লিলি বেগম (৫৫) কে অকথ্য ভাষায় গালী-গালাজ করে তার পরিবারকে হত্যা করে লাশ গুম করার হুমকি দেয়। এসময় তারা ঘরের টিনের চালে ও বেড়ায় ইট-পাটকেল ছুড়ে মারে।
এদিকে স্খানীয়রা জানান, শহরের খড়কি এলাকার ১৭ মামলার আসামি আক্তারুজ্জামান ডিকু অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে। তার হুমকি-ধামকিতে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। এসব ঘটনায় তারা কোতোয়ালি মডেল থানা, পুলিশ সুপারসহ অন্যান্য আইনশৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিকট লিখিত অভিযোগ করেও কোন সুরাহা পাচ্ছেন না। গত ১১ অক্টোবর পুলিশ সুপার বরাবরে এলাকাবাসীর দেয়া লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, খড়কি এলাকার চিহিৃত সন্ত্রাসী ও বাহিনী প্রধান আক্তারুজ্জামান ডিকু। তার সাথে রয়েছে একই এলাকার জিসান, আল আমিন, শামীম ওরফে জল্য শামীম, শুভসহ ১০/১২ জন। তারা নিয়মিত এলাকায় সকাল-সন্ধ্যা অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিচ্ছে। ডিকুর নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা এলাকায় চাঁদাবাজি, নিরীহ মানুষের জমি দখল ও মাদকের কারবার চালিয়ে যাচ্ছে। এ জাতীয় কর্মকান্ডে এলাকার লোকজন সব সময় ভীত সন্ত্রস্ত থাকে। কিন্তু তারপরও তাদের হাত থেকে এলাকাবাসী নিস্তার পাচ্ছে না। অহেতুক নানা কারণে এলাকার লোকজনকে সন্ত্রাসীরা হুমকি দিচ্ছে। অথচ পুলিশকে জানিয়েও মানুষ এ বিষয়ে কোন প্রতিকার পাচ্ছে না। বাহিনী প্রধান ডিকুর বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় ১৭টি মামলা রয়েছে। এসব কারণে বর্তমানে খড়কিতে সন্ত্রাসীরা অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে।্ অভিযোগে আরো বলা হয়েছে, গত ৮ অক্টোবর বেলা ১১টার দিকে তার স্ত্রী ছেলে মেয়ে নিয়ে স্কুলে যাবার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হলে ডিকু তাদের গতিরোধ করে খুন জখমের হুমকি ও গালিগালাজ দেয়। এসময় স্থানীয়রা তাদের সাহায্যে এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা সটকে পড়ে। এসব ঘটনায় স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে অভিযোগ করেও কোন সুরাহা না পেয়ে পুলিশ সুপার বরাবরে এ অভিযোগ করা হয়েছে। এর আগে ডিকুর সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে খড়কির আরো তিন ব্যক্তি কোতোয়ালি মডেল থানাসহ আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীর দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু তারা কোন প্রতিকার পাননি। বিষয়টি পুলিশ এসে লোক দেখানো তদন্ত করে ফিরে গেছে। তারা কার্যকর কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। এমনকি অভিযোগগুলো মামলা হিসেবেও রেকর্ড হয়নি।
Leave a Reply