মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:৫৮ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল ভাষা শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ অনুষ্ঠানে শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক নাজমুল হাসান আপত্তিকর বক্তব্য দেন। এতে ক্ষুব্ধ ও ব্যথিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড.আনোয়ার হোসেন।
বৃহস্পতিবার মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রথম প্রহরে ক্যাম্পাসের শহীদ মিনারে এ ঘটনা ঘটে।
তবে অভিযুক্ত শিক্ষক সহযোগী অধ্যাপক নাজমুল হাসান কোন আপত্তিকর বক্তব্য দেননি দাবি করে বলেছেন, আমি আমার বক্তব্যে শিক্ষকরা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন বলেছি। আমি বলেছি আমরা ভালো নেই। তাই এই শহীদ মিনারে দাঁড়িয়ে বক্তব্য দেয়ার মতো মানসিকতা এখন আমার নেই। এই কথা বলে আমি ভাষা শহীদদের আত্মার মাগফেরত কামনা করে বক্তব্য শেষ করেছি। এতে ভিসি স্যারের ব্যথিত হওয়ার কথা নয়।
ক্যাম্পাসের একটি সূত্র জানায় গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ক্যাম্পাস থেকে আপত্তিকর ভাবে নৌকা প্রতীক অপসারণ করেন শিক্ষক পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ড. ইকবাল কবির জাহিদ।
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের আগে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হেেছ।এ সময় বিগত বিষয় সামনে এনে আপত্তিকর বক্তব্য দেন শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক। তখন ভিসি তার বক্তব্যের আপত্তি তুলে ক্ষুব্ধ হন এবং কান্নায় ভেঙে পড়েন।
তিনি বলেন,আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলনের বীজবপন করে গেছেন ভাষা শহীদরা। সেই ভাষা শহীদদের স্মরণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিক্ষক পরিষদের নেতার বক্তব্য আপত্তিকর। এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে আমি কল্পনাও করিনি। একথা বলেই ভিসি কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় সাধারণ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা তাকে তার বাসভবনে নিয়ে যায়। পরে ১২টা ১০ মিনিটের দিকে ভিসি আবার ফিরে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ করেন। একাধিক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান যে কাজটি করেছেন তা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। শিক্ষার্থীদের সাথে যে সমস্যা চলছে,সে ব্যাপারে কথা বলার বিভিন্ন ফোরাম রয়েছে। কিন্তু শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের সম্মান না জানিয়ে,তাদের আত্মার শান্তি কামনা না করে তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন তা আপত্তিকর।
Leave a Reply