শনিবার, ০৬ মার্চ ২০২১, ০১:২৮ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : যশোর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজী) মোহাম্মদ হুসাইনের বিরুদ্ধে জাল জালিয়াতি অভিযোগে আদালতে আরও একটি মামলা দায়ের হয়েছে। চারজনকে আসামি করে বুধবার আদালতে মামলাটি করেন সদর উপজেলার আরবপুর ইউনিয়নের ম্যারেজ রেজিস্ট্রার মো. আব্দুল হামিদ। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. সাইফুদ্দীন হোসাইন তার অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআইকে আদেশ দিয়েছেন।
মামলার অপর আসামিরা হচ্ছেন-সদর উপজেলার আরবপুর ইউনিয়নের খোলাডাঙ্গা মফেজপাড়ার ফরিদ উদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে শামিম বিশ্বাস, খোলাডাঙ্গা ব্র্যাক অফিস এলাকার মৃত আবু জাফর শেখের ছেলে আজহারুল ইসলাম ও শহরের শংকরপুর চোপদারপাড়ার ওয়াজেদ আলী মোল্যার ছেলে আব্দুস সালাম।
বাদী মো. আব্দুল হামিদের অভিযোগ, আসামি মোহাম্মদ হোসাইনের নির্দেশনা মতে তার সহযোগী শামিম বিশ্বাস গত ২৪ জুন রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাদী আব্দুল হামিদের অধিক্ষেত্রের খোলাডাঙ্গা মফেজপাড়ায় শহিদুল ইসলাম টেংকুর মেয়ের বিয়ে সম্পাদনের জন্য সেখানে যান। এ খবর পেয়ে মো. আব্দুল হামিদ সেখানে গেলে তাকে দেখামাত্র শামিম হোসেন পালানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু মো. আব্দুল হামিদ উপস্থিত লোকজনের সহায়তায় তাকে পাকড়াও করে তার কাছ থেকে বিয়ে সম্পাদনের একটি রেজিস্ট্রি বই জব্দ করেন। পরে তিনি দেখতে পান যে, রেজিস্ট্রি বইটি জাল এবং এর ৪টি পৃষ্ঠায় আসামি মোহাম্মদ হুসাইনের স্বাক্ষরসহ সিল দেয়া রয়েছে। ফলে বাদী মো. আব্দুল হামিদ জব্দকৃত জাল রেজিস্ট্রি বই সম্পর্কে জেলা কাজী সমিতির নেতৃবৃন্দকে অবহিত করেন। পরে কাজী সমিতি এ সংক্রান্তে আসামি মোহাম্মদ হুসাইন ও শামিম হোসেনকে কৈফিয়ত তলব করেন। এর সপ্তাহের পর মোহাম্মদ হুসাইন তার ৩ সহযোগী শামিম হোসেন আজহারুল ইসলাম ও আব্দুস সালাম কাজী সমিতির অফিসে আসেন। তাদেরকে এ সময় বাদী মো. আব্দুল হামিদের অধিক্ষেত্র এলাকায় গিয়ে শহিদুল ইসলাম টেংকুর মেয়ের বিয়ে সম্পাদনের চেষ্টার কারণ জানতে চাওয়া হয়। কিন্তু তারা এর জবাব না দিয়ে উল্টো কাজী সমিতির নেতৃবৃন্দকে গালিগালাজ ও হত্যার হুমকি প্রদান করেন।
Leave a Reply