শনিবার, ০৬ মার্চ ২০২১, ০৭:১৬ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: যশোর শহরের মণিহার মোড় থেকে ব্যাটারী চালিত রিকশা ভাড়া নিয়ে তিনজন রিকশা চালক খোকন (৫৫)কে ছুরিকাঘাত করে পালাবার সময় ছাতিয়ানতলা বাজারের নাইটগার্ডসহ স্থানীয় লোকজন ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছে। এ ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। আটককৃতরা হচ্ছে নড়াইল জেলার সদরের কমলাপুর গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে রজিবুল ইসলাম,শহরের সিটি কলেজপাড়ার গৌরাঙ্গ মন্ডলের ছেলে বাদল মন্ডল।
যশোর সদরের ঝুমঝুমপুর স্কুল মোড়ের খোকনের ছেলে মিলন হোসেন বাদি হয়ে শনিবার রাতে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে খোকন ব্যাটারী চালিত রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। গত ২৫ সেপ্টেম্বও রাত সোয়া ১১ টায় খোকন তার ব্যাটারী চালিত রিকশা নিয়ে মণিহার মোড়ে অবস্থানকালে উক্ত আসামীরা রিকশা ভাড়া নিয়ে বাগডাঙ্গা যাবে বলে ঠিক করে। রিকশাটি রাত ১১ টা ৪০ মিনিটের সময় সদর উপজেলার ধানঘাটা গ্রামের ধানঘাটা ব্রীজের উপর পৌছালে যাত্রী বেশে দস্যুরা রিকশা চালক খোকনকে পিছন থেকে ছুরিকাঘাত করে। পরে তাকে জখম অবস্থায় ফেলে রিকশা নিয়ে নড়াইলের দিকে চলে যায়। নালিয়া গ্রামের এক ব্যক্তি খোকনের মোবাইল নিয়ে ফোন করে ছেলে মিলনকে সংবাদ দেয় তার পিতাকে ছুরিকাঘাত করে দূবৃর্ত্তরা ব্যাটারী চালিক রিকশা ছিনতাই করে নিয়ে গেছে। মিলন তার চাচাতো ভাইকে নিয়ে নালিয়া গ্রামের পৌছে গুরুতর জখম খোকনকে নিয়ে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। বর্তমানে খোকন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনার রাতে দস্যুরা ব্যাটারী রিকশা ছিনতাই করে যাবার সময় বাঘার পাড়া উপজেলার ছাতিয়ানতলা বাজারের নাইটগার্ড ছিনতাইকারী বলে ডাক চিৎকার দিলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে ব্যাটারী চালিত রিকশাসহ দস্যু উল্লেখিত দু’জনকে ধরে ফেলে তাদের সহযোগী সাব্বির পালিয়ে যায়। দস্যুদের ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। পুলিশ দস্যু দু’জনকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। পরে তাদেরকে রোববার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করে।
Leave a Reply