রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:৪৩ অপরাহ্ন

প্রতিনিধি আবশ্যক :
বহুল প্রচারিত অনলাইন পত্রিকা জয় বাংলা নিউজ ডট কম ( www.joibanglanews.com)এর জন্য জরুরী ভিত্তিতে দেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা/থানা এবং বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক (খালি থাকা সাপেক্ষে) প্রতিনিধি আবশ্যক। আগ্রহী প্রার্থীদের পাসপোর্ট সাইজের ১ কপি ছবি, জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি, অভিজ্ঞতা ( যদি থাকে) উল্লেখ পূর্বক জীবন বৃত্তান্ত এবং মোবাইল নাম্বার সহ ইমেইলে ( joibanglanews@gmail.com ) আবেদন করতে হবে।
শিরোনাম :
ব্যয় নির্বাহ ও উন্নয়ন প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়নে অর্থের অন্যতম উৎস রাজস্ব খাত… রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন পাঁচ নারীকে বেগম রোকেয়া পদক-২০২৩ প্রদান প্রধানমন্ত্রীর সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী বিএনপি…. তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বিএনপি আন্দোলনের নামে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাতে চায়….সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বেগম রোকেয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছে বাংলাদেশ….. প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে…. ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার পর এদেশে মানবাধিকার বলে কিছু ছিলো না…. প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যশোরে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস পালন যশোরে সুশাসন প্রতিষ্ঠার বিষয়ে অংশীজনদের সভা অনুষ্ঠিত যবিপ্রবির ৮ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার
দেশের স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা ঝুঁকিতে – নিরাপদ থাকার উপায় কী?

দেশের স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা ঝুঁকিতে – নিরাপদ থাকার উপায় কী?

জয় ডেক্স: বিশ্বের মোট ৬০টি দেশের ওপর জরিপ চালিয়ে ঐ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সাইবার নিরাপত্তায় দিকে থেকে সবচেয়ে অনিরাপদ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ষষ্ঠ।এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা। স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের মধ্যে প্রায় ৩৬ শতাংশের স্মার্টফোনই ম্যালওয়ারে আক্রান্ত।এছাড়া কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে ম্যালওয়ার আক্রান্তের হার ১৯ দশমিক ১ শতাংশ।

ঐ রিপোর্ট অনুযায়ী সাইবার নিরাপত্তায় সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশ আলজেরিয়া। তালিকায় এর পর যথাক্রমে ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, তানজানিয়া এবং উজবেকিস্তানের স্থান।নিরাপত্তার দিক থেকে বাংলাদেশের পরই রয়েছে পাকিস্তান। ঝুঁকির বিচারে তালিকায় চীন ১৩ নম্বরে এবং ভারত ১৫ নম্বরে রয়েছে।

কেন অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা ঝুঁকিতে?

কমপারিটেকের ঐ প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের মধ্যে অ্যানড্রয়েড ফোন ব্যবহারকারীরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন।এর কারণ হিসেবে তথ্য-প্রযুক্তিবিদ জাকারিয়া স্বপন বলছেন, বাংলাদেশে মোবাইল ফোনের গ্রাহক প্রায় দশ কোটি হবার পরও সাধারণ মানুষ এর ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন নয়।আর স্মার্টফোন কিভাবে ব্যবহার করতে হবে এ বিষয়ে মানুষ আসলে এখনও ঠিকভাবে জানে না।”দেখা যাবে ফোনের সফটওয়্যার আপগ্রেড করার জন্য কিংবা কোন অ্যাপস, সেটা বিনোদনমূলক বা গেমস হতে পারে, ডাউনলোড করার জন্য মানুষ মার্কেটে বা পাড়ায় ফোনের দোকানে যায়।””সেখান থেকে সহজেই গ্রাহকের অজান্তে ম্যালওয়্যার ইনস্টল হয়ে যায় বেশিরভাগ সময়,” বলছিলেন তিনি।”ধরুন আপনি কোন সফটওয়্যার নিচ্ছেন বা একটা গান নিয়েছেন ফোনে, তার সঙ্গে একটি ভাইরাস চলে আসলো। কম্পিউটারে যেমন, এক পেনড্রাইভ থেকে অন্য পেনড্রাইভে কিছু নিলে ভাইরাস চলে যায়, সেরকম ব্যপারটা।”সেক্ষেত্রে অ্যান্ড্রয়েড ফোন ঝুঁকিপূর্ণ হবার কারণ হচ্ছে, বাংলাদেশে শতকরা ৯৫ শতাংশ স্মার্টফোনই অ্যান্ড্রয়েড প্রযুক্তিতে চলে।মোবাইল ফোন আমদানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের হিসাব অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে নয় কোটি মোবাইল ফোন সক্রিয় রয়েছে।আর সিম সক্রিয় রয়েছে ১৫ কোটি। মোট ফোনের মধ্যে স্মার্টফোন ব্যবহার করেন ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ মানুষ।মি. জাকারিয়া জানিয়েছেন, স্মার্টফোনের দুই ধরণের অপারেটিং সিস্টেম রয়েছে।এর মধ্যে একটি হচ্ছে, আইওএস। এটি অ্যাপল ইনকর্পোরেটেডের তৈরি একটি মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম, যা এই প্রতিষ্ঠানের তৈরি করা যন্ত্র যেমন আইফোন, ম্যাকবুক ও আইম্যাকে ব্যবহার করা হয়। অন্যটি হচ্ছে, অ্যান্ড্রয়েড—বাকী সব স্মার্টফোন চলে যে অপারেটিং সিস্টেমে।”আইওএসের বাজার খুবই নিয়ন্ত্রিত, যেকোন জায়গায় চাইলেই আইওএস আপগ্রেড করা যায় না, বা এই অপারেটিং সিস্টেমে চলা যন্ত্রসমূহে চাইলেই যেকোন অ্যাপস ইনস্টল করা যায় না, ফলে এটি অনেক নিরাপদ।”তিনি বলেন, “অ্যান্ড্রয়েড তো ‘ওপেন এন্ডেড’, সবাই ব্যবহার করতে পারে। যেকোন জায়গায় এটি আপগ্রেড করা যায়, এতে যেকোন অ্যাপস ডাউনলোড করা যায়। ফলে ম্যালওয়্যার ইনস্টল হয়ে যেতে পারে যেকোন সময়।”

“এছাড়া মোবাইলে যখন অ্যাপস ডাউনলোড করা হয়, অনেক ব্যবহারকারীই এর টার্মস এ্যান্ড কন্ডিশন ঠিকমত পড়ে দেখেন না।”

“ফলে গ্রাহক নিজের অজান্তেই ফোনের মেসেজ, কল রেকর্ড, ব্যক্তিগত ছবি বা ভিডিও অনেক কিছুর অ্যাকসেস দিয়ে দেন ঐ অ্যাপসের মালিককে। সেখান থেকেও ঝুঁকিতে পড়ে স্মার্টফোন ব্যবহারকারী,” এমনটাই মনে করেন তিনি।

কীভাবে সাবধান হওয়া যাবে?

তথ্য-প্রযুক্তিবিদ জাকারিয়া স্বপন বলছেন, প্রথমেই একজন ব্যবহারকারীকে যথার্থ সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে।”প্রথমেই অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহার করলে প্রপার অ্যান্ড্রয়েড ডাউনলোড করবো। দ্বিতীয়ত, যখনই কোন অ্যাপস ডাউনলোড করবো, এর শর্ত সমূহ পড়ে ও জেনে নামাতে হবে।”এছাড়া ফোনে বা কম্পিউটারে যখনই কোন মেইল আসবে, সেটি ফিসিং মেইল কিনা নিশ্চিত না হয়ে সেটা ওপেন করা উচিত নয়।কেবল স্মার্টফোন ব্যবহারকারীই নন, যেকোন কম্পিউটারেও যেকোন সময় ম্যালওয়্যার ইনস্টল হয়ে যেতে পারে।যেমন, তিন বছর আগে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির যে ঘটনা ঘটে, হ্যাকিং এর সেই ঘটনাটি ঘটানো হয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংকের সিস্টেমে ম্যালওয়্যার ইনস্টল করে।সে অর্থ উদ্ধারে এ মাসেই যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে রাখা রিজার্ভ থেকে চুরি হওয়া ৮১ মিলিয়ন ডলার ফেরত পেতে নিউইয়র্কের ম্যানহাটন ডিসট্রিক্ট কোর্টে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে।…বিবিসি বাংলা

 

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved  2019 Joibanglanews.com এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা নিষেধ।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
Translate »