মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৪:০০ পূর্বাহ্ন
জয় ডেক্স: কক্সবাজারে পাহাড় কাটা ও পরিবেশ ধ্বংসে জড়িতদের অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদ অনুসন্ধানে নতুন মাত্রায় অভিযান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। প্রভাবশালী একটি মহল কর্তৃক সম্প্রতি কক্সবাজারের ফাতেরঘোনা ও নুরু সওদাগরের ঘোনা এলাকায় সরকারি খাস মালিকানাধীন পাহাড় কেটে প্লট তৈরি এবং প্লট বিক্রি করে অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন করার অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরীর নির্দেশে দুদক এনফোর্সমেন্ট টিম গত ২৯ জানুয়ারি হতে ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ইং পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে পুলিশ, র্যাব ও প্রশাসনের সহযোগীতায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে।
এতে প্রায় ২০ একর পাহাড় অবৈধ দখলমুক্ত করা হয়। এনফোর্সমেন্ট টিমের অভিযান থেকে জানা যায়, কক্সবাজারের একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট সরকারি কর্মকর্তা এবং ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের ঘুষের বিনিময়ে পাহাড় ধ্বংসের অপতৎপরতায় নামে।
এসব জমি স্থানীয় বিভিন্ন ব্যক্তিদের কাছে কয়েক দফায় বিক্রি করে এ সিন্ডিকেট প্রায় ১২ কোটি টাকা অবৈধ অর্থ আদায় করে, যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। দুদকের অভিযানে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, এ পাহাড় কাটার সিন্ডিকেটভুক্ত নেতারা হলো নওশাদ হোসেন ও আজাদ হাসান। তারাই মূলতঃ পরিবেশ ও পাহাড় ধ্বংসকে অবৈধ ব্যবসার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। এদের বিরুদ্ধে সরকারি সম্পত্তি দখল ও আত্মসাৎপূর্বক বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য দুদকের হস্তগত হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে দুদক এনফোর্সমেন্ট অভিযানের প্রধান মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, “পাহাড় ধ্বংস ও প্লট বিক্রি করে যারা অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন করেছে, তাদের সম্পদের হিসাব বের করা হবে, দুদক আইনে মামলা করা হবে এবং আইনী প্রক্রিয়ায় অবৈধ সম্পদ জব্দ করা হবে। পরিবেশ ধ্বংস করে দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ অর্থ উপার্জনের পথ বন্ধ করতে দুদক বদ্ধপরিকর। শীঘ্রই উদ্ধার করা পাহাড়ে বৃক্ষরোপণ ও মাটি ভরাট করে ক্ষতিগ্রস্ত পাহাড়কে পূর্বের প্রাকৃতিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য দুদক উদ্যোগ নেবে।”
সুত্র:সকালের সময়
Leave a Reply