শনিবার, ১০ Jun ২০২৩, ০৯:২৮ অপরাহ্ন
জয় ডেক্স: যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক পরিষদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের এক গুয়েমিতে ডুবতে বসেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান। স্থানীয় সরকার পল¬ী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্যসহ যশোরের বিভিন্ন আসনের সংসদ সদস্যদের উপস্থিতিতে ক্লাসে ফেরার সিদ্ধান্ত হলেও তা মানছেন না এই দুই শিক্ষক।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত মাসের শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক পরিষদের সভাপতি ড. ইকবাল কবীর জাহিদের বিরুদ্ধে নৌকা প্রতীক অবমাননার অভিযোগ তুলে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে ছাত্রলীগ। পরে তাদের আরো কয়েকটি দফা যুক্ত করে আন্দোলনে নামেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেক্স ক্যালেন্ডারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি অবমাননার বিষয়টি সামনে আসলে ফের উত্তাল হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয়। এক পর্যায়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এরই মধ্যে ১৪ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি ও শিক্ষক পরিষদের সভাপতি ড. ইকবাল কবির জাহিদের বিরুদ্ধে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি অবমাননার অভিযোগে যশোর আদালতে মামলা করেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিপুল। একই দিন তিনি শিক্ষক পরিষদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে আরো একটি মানহানির মামলা করেন। সব মিলে বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন তুঙ্গে ওঠে। শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী উভয়পক্ষই ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলনে নামেন।
বাধ্য হয়ে পরিস্থিতি অনুকূলে আনতে গত ২৪ জানুয়ারি ভিসি ড. আনোয়ার হোসেন যশোরের বিভিন্ন আসনের সংসদ সদস্যসহ বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এবং সুধীজনদের নিয়ে চা-চক্রে মিলিত হন। ওই সভা থেকে সব পক্ষকে ক্লাস-পরীক্ষায় ফেরার আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরলেও এখনো আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষক পরিষদের নেতারা। তারা মন্ত্রী,সংসদ সদস্যসহ সুধীজনদের আহ্বান অগ্রাহ্য করে প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত ক্লাশ পরীক্ষায় বর্জন করছেন। মূলত শিক্ষক পরিষদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের একক সিদ্ধান্তে এখনো পর্যন্ত ক্যাম্পাসে স্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি।শিক্ষার্থীরা ক্লাসে থাকলে অনেক শিক্ষক ১২টা থেকে ২টার মধ্যে ক্লাসে গেলেও দুই শিক্ষক নেতা তাদেরকে বের করে দিচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে যেকোনো সময় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশি¬ষ্টরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক জানিয়েছেন,তারা শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে ক্যাম্পাসের পরিবেশ স্বাভাবিক করতে চান। কিন্তু শিক্ষক পরিষদের সভাপতি এবং সম্পাদকের একক সিদ্ধান্তে সেটা সম্ভব হচ্ছে না। তারা তাদের নিজেদের স্বার্থে শিক্ষক পরিষদের নাম ব্যবহার করছেন। একসাথে তাদের এই সিদ্ধান্তের কারণে হাজার হাজার শিক্ষার্থী সেশনজটের কবলে পড়ছেন। একই সাথে কমছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান।
যোগাযোগ করা হলে শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ডা.নাজমুল হাসান জানান,প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের আহবানে সাড়া দিয়ে আমরা ক্লাস-পরীক্ষায় ফিরেছি। কিন্তু এখনো আমাদের আন্দোলন এখনো অব্যাহত আছে। দুই দফা দাবিতে আমরা আন্দোলন করছি।এক প্রশ্নের জবাবে এই শিক্ষক নেতা বলেন,মন্ত্রী, এমপিদের আমরা অগ্রাহ্য করছি না।আশা করছি আগামী রিজেন্ট বোর্ডে আমাদের দাবি পূরণ হবে।
Leave a Reply