রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:৫৯ অপরাহ্ন
জয় ডেক্স: তারিন। অভিনেত্রী, মডেল ও কণ্ঠশিল্পী। বাংলাভিশনে প্রচার হচ্ছে তার অভিনীত ধারাবাহিক নাটক ‘সোনালী দিন’। নাটক ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে কথা হয় তার সঙ্গে-
গল্প ও চরিত্রের দিক থেকে আগের নাটকগুলোর চেয়ে ‘সোনালী দিন’ কতটা ভিন্ন?
‘সোনালী দিন’ কিছুটা হলেও ভিন্ন ধাঁচের নাটক। সাধারণ মানুষের জীবনযাপন উঠে এসেছে নাটকের গল্পে। গল্পটি সময়োপযোগী। আমরা সাধারণত যে ধরনের নাটকে অভিনয় করি, তা কোনো না কোনো সমাজের গল্প নিয়েই করা হয়। এটি একটু ব্যতিক্রম। এর প্রতিটি পর্বে একটি বক্তব্য আছে। বর্তমান সরকারের উন্নয়নমূলক কাজেরও কিছু মেসেজ আছে গল্পে। সেটি কিন্তু আরোপিত নয়। গল্পের সঙ্গে মানানসই।
নাটকে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
অবশ্যই ভালো। মাতিয়া বানু শুকু সবসময়ই ভিন্নধর্মী গল্প নিয়ে কাজ করতে পছন্দ করেন। নির্মাতা রোকেয়া প্রাচীর কাজেও ছিল বেশ যত্নের ছাপ। দু’জনই চেষ্টা করেছেন ভালো কিছু করতে। নাটকটি যাতে দর্শকের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হয় সেই চেষ্টার কমতি ছিল না। এতে যথেষ্ট স্বাধীনতা নিয়ে অভিনয় করেছি। একটা পরিবারের গল্প নিয়ে এর কাহিনী এগিয়ে গেছে। এখানে আমি পরিবারের একজন কর্মজীবী মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছি। চরিত্রটিতে অভিনয়ের অনেক সুযোগ রয়েছে। সবমিলিয়ে অভিজ্ঞতা বেশ ভালোই ছিল।
নাটকে অভিনয় কমিয়ে দিয়েছেন, এর কারণ কী?
কথাটা কিছুটা হলেও সত্য। যে ধরনের কাজ আমরা করে আসছি সে ধরনের নাটক এখন কম হচ্ছে। আমাদের কাছে দর্শকের প্রত্যাশা অনেক। তাদের ঠকাতে চাই না বলেই সব ধরনের নাটকে অভিনয় করছি না। গল্প আর চরিত্র পছন্দ না হলে অভিনয় করে কী লাভ?
কী কারণে ভালো গল্প ও চরিত্রনির্ভর নাটক হচ্ছে না বলে আপনি মনে করেন?
এখন এজেন্সি বেইজড কাজ বেশি হচ্ছে। এতে চরিত্র ও গল্প কতটা প্রাধান্য পায় সেটা দেখার বিষয়। শুধু আমি নই, আমাদের জেনারেশনের অনেক শিল্পীই এখন অভিনয় কম করছে। এজেন্সির যে ট্রেন্ড চালু হয়েছে তাতে শিল্পীরা যথাযথ মূল্যায়ন পাচ্ছে না। নাটকের বাজেট কমে যাচ্ছে। আগে মানুষ নাটক দেখে অনেক মজা পেত। পরিবারের মা-বাবার পাশাপাশি অনেক চরিত্র ছিল। একটা শক্ত পারিবারিক বন্ধন দেখানো হতো নাটকে। এখন নায়ক-নায়িকা ও তাদের মা-বাবার চরিত্রের বাইরে ভাবতে পারছেন না নির্মাতারা। বাজেট-স্বল্পতার কারণে এমনটি হচ্ছে। নতুন অনেক শিল্পী আছেন। তারাও ভালো অভিনয় করছেন। তবে কতটুকু তারা নিজেদের প্রমাণ করতে পারছেন, তাদের নিয়ে নিরীক্ষাধর্মী কাজ কতটা হচ্ছে, সেটিই বিবেচ্য বিষয়। তাদের সময় দিতে হবে। ভালো শিল্পী তো আর রাতারাতি তৈরি হয় না। এটা একটা বড় বিষয়। এখন নিরীক্ষাধর্মী কাজও কম হচ্ছে। ভালো স্ট্ক্রিপ্ট রাইটারের বড় অভাব। বাজেট-স্বল্পতার কারণে অনেক লেখক স্ট্ক্রিপ্ট দিতে আগ্রহী হচ্ছেন না। সুত্র: দৈনিক সমকাল
Leave a Reply