সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৬:৫২ অপরাহ্ন
জয় ডেক্স: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, বর্তমান শিক্ষার্থীরাও ডাকসুর গুরুত্ব অনুধাবন করছে। আমরা ডাকসু নির্বাচনকে সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে আন্তরিক প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের স্বদিচ্ছা রয়েছে আসন্ন ডাকসু নির্বাচন সব মহলের কাছে গ্রহণযোগ্য করার।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওস্থ জাতীয় চলচিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (এফডিসি) ‘ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র আয়োজনের ইউসিবি পাবলিক পার্লামেন্ট নামে এক ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। এতে সভাপতিত্ব করেন ‘ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
ঢাবি উপাচার্য বলেন, ডাকসুর যে গঠনতন্ত্র আছে, সেটি অনুমোদিত হয়েছে; কোড অব কন্ডাক্ট অনুমোদিত হয়েছে। আমরা ওই দুটি দলিলকে সামনে রেখেই ডাকসু নির্বাচনের জন্য সকল ব্যবস্থাপনার দিকে এগিয়ে যাব। কোনো নিদির্ষ্ট গোষ্ঠীকে সুযোগ প্রদান নয় বরং সকলের জন্য সমান সুযোগ তৈরির মাধ্যমেই আমরা ডাকসু নির্বাচন সম্পন্ন করতে চাই।
অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভিন্নমত ও বিভিন্ন মহলের মতাদর্শকে সম্মান দেয়। আমরা সেই আদর্শকে বাস্তবায়ন করতে চাই। আজকের বিতার্কিকরা ডাকসুর গুরুত্ব তুলে ধরতে গিয়ে প্রায় ১’শ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরব গাঁথা ও ইতিহাস তুলে ধরেছে।
তিনি বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার পদ্ধতি নিয়ে আজকের প্রতিযোগিতার বিতার্কিকরা যে চিন্তা চেতনা ও যুক্তি তুলে ধরেছে তা আমাদের ভবিষ্যত নীতি নির্ধারণে সহায়তা করবে। আগামীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতির সংস্কারের চিন্তা-ভাবনা চলছে। ২০১৯-২০ সালে যারা ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিবে তারা নতুন পদ্ধতিতেই পরীক্ষা দিবে। আমরা চাই শিক্ষার্থীরা কোচিং সেন্টার নির্ভর যাতে না হয়ে উঠে। আত্মনির্ভরশীলতার মধ্য দিয়ে যাতে শিক্ষার্থীরা বেড়ে উঠে সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।
সভাপতির বক্তব্যে হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, আগামী ১১ মার্চ ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা উচ্চশিক্ষায় ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবেন। তবে তার আগে মনে রাখতে হবে ডাকসু নির্বাচন যাতে গ্রহণযোগ্য করা সম্ভব হয়। সে বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মহোদয়কে দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে সকল ছাত্র সংগঠনকে সমান সুযোগ প্রদানের ব্যবস্থা নিতে হবে। যাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হলে সকল ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের সহঅবস্থান নিশ্চিত হয়। ডাকসু নীতিমালা প্রণয়নে সকল মতের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মতামত গ্রহণ করতে হবে। এছাড়া ভোটকেন্দ্র নিয়ে যে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে সেটিরও একটি গ্রহণযোগ্য সমাধান প্রয়োজন। তাহলেই গণতন্ত্রের সূতিকাগার হিসেবে বিবেচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আগামী ছাত্র সংসদ নির্বাচন জাতির কাছে মাইলফলক হয়ে থাকবে।
প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়কে পরাজিত করে বিজয়ী হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি।
প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন অধ্যাপক আবু মোহাম্মদ রইস, সাংবাদিক মাঈনুল আলম, সাব্বির নেওয়াজ, মোস্তফা মল্লিক ও রোজিনা ইসলাম। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। সুত্র:দৈনিক সমকাল
Leave a Reply