বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩, ০১:০৮ পূর্বাহ্ন
যশোরে এক অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পুড়িয়ে
হত্যা মামলায় স্বামীর মৃত্যুদন্ড
স্টাফ রিপোর্টার: যশোরে অন্তঃসত্ত্বা সবুরা বেগমকে পুড়িয়ে হত্যা করে তার স্বামী আব্দল্লাহ। সে যশোর অভয়নগর উপজেলার সিংগাড়ী গ্রামের ইঞ্জিল সরদারের ছেলে। এ মামলায় তাকে মৃত্যুদন্ড ও অর্থদন্ড দিয়েছে যশোর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ আদালত। বুধবার ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক টিএম মুছা এ আদেশ দেন। তবে মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামি আব্দল্লাহ
পলাতক রয়েছে। মামলাটি পরিচালনা করেছেন বিশেষ পিপি এম ইদ্রিস আলী।
পিপি ও আদালত সূত্রে জানা যায় ২০০৭ সালের ১৩ এপ্রিল অভয়নগরের শুকপাড়া গ্রামের শামছুর রহমানের মেয়ে সবুরা বেগমের সাথে বিয়ে হয় আব্দুল্লাহ সাথে। বিয়ের পরে সে ৪০ হাজার টাকা দাবি করে। টাকা না পেয়ে সে স্ত্রী সবুরা বেগমকে নির্যাতন শুরু করে। ইতোমধ্যে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়। ২০০৮ সালের ৬ জানুয়ারি পাষান্ড আব্দুল্লাহ তার স্ত্রী ও মা-বাবাকে সাথে নিয়ে শ্বশুর বাড়ি যায়। এদিন তারা শামছুর রহমানের কাছে যৌতুকের ৪০ হাজার টাকা দাবি করে। টাকা না পেয়ে সবুরাকে নিয়ে যেয়ে আসামিরা তার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে।
১৫ জানুয়ারি বিকেলে সবুরাকে মারপিট করে হাত-মুখ দড়ি দিয়ে বেধে লেপের মধ্যে রেখে ওই রেপে আগুন ধরিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় আসামিরা। পরে স্থানীয়রা সবুরা বেগমকে উদ্ধার করে খুলনা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। পরেরদিন দগ্ধ অবস্থায় সে হাসপাতালে একটি মৃত সন্তানের জন্ম দেয়। ২১ জানুয়ারি যৌতুকের জন্য হত্যা চেষ্টার অভিযোগে তিনজনকে আসামি করে নিহতের বাবা শামছুর রহমান বাদী হয়ে অভয়নগর থানায় মামলা করেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৮ জানুয়ারি সবুরা বেগমের মৃত্যু ঘটে। পরে মামলাটি হত্যা মামলা রেকড করা হয়। দীর্ঘ তদন্ত শেষ স্বামীসহ তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।এ মামলার দীর্ঘ সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামি আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বুধবার ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক টিএম মুছা তাকে মৃত্যুদন্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন।
Leave a Reply