বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ০৭:০০ অপরাহ্ন
হারুন অর রশিদ: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারী লন্ডন হয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে বা আগমনে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতে থাকে বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষ।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঠিক করলেন মুক্তিলাভের পর তিনি
আধুনিক গণতন্ত্রের সুতিবাগান লন্ডন হয়ে মাতৃভুমিতে ফিরবেন। একারণে তিনি ইসলাবাদ থেকে পি আই এর একটি বিশেষ বিমানে লন্ডনের হিপরো বিমান বন্দরে পৌছান। তবে ব্রিটিশ ফরেন অফিসকে পাকিস্তন সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রালয় বঙ্গবন্ধুর লন্ডন আগমনের সংবাদটি আগেই জানিয়ে দেয়। এবং ব্রিটিশ ফরেন অফিস লন্ডনের বাঙ্গালী কুটনৈতিকদের এ সংবাদ জানিয়ে দেয়। এ সময় রেজাউল করিম,মহিউদ্দীন আহম্মদ ও মহিউদ্দীন জয়গিরদার বিমান বন্দরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রিসিব করতে যান।
মহিউদ্দীন আহম্মদ স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি বলেন বঙ্গবন্ধু বিমান থেকে নেমে লাউঞ্জে প্রবেশ করে তিনি তাকে জড়িয়ে ধরেন। এ সময় আবেগে কেদে উঠলে বঙ্গবন্ধু তার পিঠে হাত রেখে বলেছিলেন ভয় নেই আমি এসেছি। তিনি লন্ডনের একটি হোটেল থেকে ব্রিটিশ প্রধান মন্ত্রী এডওয়ার্ড হিলের সাথে সাক্ষাৎ করতে যান। এ সময় তিনি প্রাধান মন্ত্রী ও ওই দেশের জনগণ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। পরেদিন ব্রিটিশ সরকারের নিরাপত্তায় একটি বিশেষ বিমানে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। দিল্লিতে স্বল্প সময়ের জন্যে বিরতি নেন এবং সেখান থেকে দেশে ফেরেন।
১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন খবরটি বাংলাদেশের একটি মাত্র টিভি বাংলাদেশ টেলিভিশন তা সম্প্রচার করেছিল। এ সংবাদটি দেখার জন্যে সাধারণ মানুষ ১০ কিলমিটার পায়ে হেটে দেখতে গিয়েছিল ব্যাপক উৎসাহে।
সেদিনের সেই চিত্র প্রমান করে শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ের একমাত্র মানুষ। গভীর ভাবে ভক্তিভরে শ্রাদ্ধার প্রাণ পুরুষ। তাই তিনি বঙ্গবন্ধু।
তিনি দেশে ফিরে বাংলাদেশকে সোনার বাংলা গড়ার এবং আধুনিক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্যে নিরালস কাজ করে যাবেন বলে দৃড় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন। তারই ধারাবাহিকতায় তিনি কাজ শুর করেন। তিনি তার অক্লান্ত পরিশ্রম দিয়ে বাংলাদেশকে একটি শক্ত অবস্থানে নেয়।
বৃহস্পতিবার সকালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে যশোরে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার সকালে যশোর বকুলতলা বঙ্গবন্ধু স্মৃতি ম্যুরালে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করেন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের জেলা শ্রমবিষয়ক সম্পাদক শেখ আব্দুস সবুর হেলাল.উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথ.সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান মিন্টু.শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল হোসেন.সাধারণ সম্পাদক ইমাম হাসান লাল প্রমুখ।
Leave a Reply